ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সাকিব যতটা দুর্দান্ত ছিলেন, নিউজিল্যান্ড সিরিজে ছিলেন ততটাই নিষ্প্রভ। ব্যাট হাতে উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলতে পারেননি। বল হাতেও তার পারফরম্যান্স আহামরি ছিল না।
আঙুলের পুরনো চোটে ব্যথা পেয়েছেন জানিয়ে কিউইদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটিও খেলেননি।
যাই হোক, টানা তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশ দলের এবারের মিশন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
তবে তার আগে দলের সেরা তারকা সাকিবের চোখ আইপিএলে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএলের বাকি অংশে যোগ দিতে কয়েক দিনের মধ্যেই দেশ ছাড়বেন সাকিব।
বিশ্বকাপের ভেন্যুগুলোতেই চলবে আইপিএল যুদ্ধ। কন্ডিশন, উইকেট সবই এক। তাই বিশ্বকাপের আগে আইপিএল কেমন কাজে লাগবে সে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
শনিবার রাতে ঢাকায় একটি টাইলস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সময় সাকিব জবাব দিলেন সেই প্রশ্নের।
বললেন, ‘আশা করি আইপিএলে খেলা বিশ্বকাপে সাহায্য করবে। সেই অভিজ্ঞতা আমরা দলের সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারব; আমি পারব, মোস্তাফিজ পারবে। আটটি আইপিএল দলে আমরা দুজন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, খেলোয়াড়দের ভাবনা কেমন, বিশ্বকাপ নিয়ে কীভাবে ভাবছে অন্য দেশের খেলোয়াড়রা— এসব সম্পর্কে ধারণা হবে, যা সতীর্থদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেব।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ভালো বলে জানালেন সাকিব। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর মতো মন্তব্য করলেন তিনি।
বললেন, ‘আমাদের প্রস্তুতিটি খুবই ভালো হয়েছে। গত তিনটি সিরিজ আমরা জিতেছি। উইকেট নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু জয়ের কোনো বিকল্প নেই। একটা দল যখন জিততে থাকে, জয়ের মানসিকতা থাকে, তা অন্য পর্যায়ের আত্মবিশ্বাস জোগায়। অনেক ভালো খেলেও ম্যাচ হারলে আত্মবিশ্বাস থাকে না। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা বিশ্বকাপে যেতে চাই। এখানকার উইকেট-কন্ডিশন ওখানে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। আমাদের জয়ের মানসিকতা তৈরি হয়েছে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপে যাব।’
0 Comments