‘জ্বর ১০৪ ডিগ্রি, ঠান্ডা, কাঁশি। সবার দোয়া কামনা করছি।’ প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে ফেসবুকে এমন একটি পোস্ট দিয়েছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আল-আমিন। তাঁর পোস্টের মন্তব্য ঘরে অনেকেই দ্রুত সুস্থতা কামনা করলেও আর সুস্থ্ হয়ে ওঠেননি আল-আমিন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান তিনি। তাঁর এ অকালমৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ।
আল-আমিনের সহপাঠীদের বরাত দিয়ে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল আবেদ প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের পর আল-আমিন বগুড়া থেকে ঢাকায় চলে আসেন। দু–তিন দিন ধরে তাঁর জ্বর ছিল। গতকাল বুধবার হঠাৎ জ্বর বাড়লে মেসের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই আল–আমিনের মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ডেঙ্গুতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
আল-আমিনের সহপাঠী তানভীর ইসলাম বলেন, ‘আমরা এক রুমেই থাকতাম। সে অনেক পরিশ্রম করে পড়াশোনা করত। ফেসবুকে তার জ্বরের পোস্ট দেখে ফোন দিয়ে ডাক্তার দেখানোর কথা বলি। মিরপুরে আমাদের মেসের সামনেই একটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে মেসের সদস্যরা হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করে। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পথেই আল-আমিন মারা যায়।’
আল-আমিনের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বাংলা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে।
আল-আমিনের গ্রামের বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রামে। সেখানে তাঁর জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
0 Comments